উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে রিপনের মেডিকেল পড়াশোনা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। শ্রম প্রতিমন্ত্রী যশোর মেডিক্যালে সদ্য ভর্তি হওয়া রিপনের হতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। শ্রমমন্ত্রী জানান, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে রিপন আগামী তিন বছরে ৩ লাখ টাকা শিক্ষা সহায়তা পাবেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বাংলাদেশ শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. আনিসুল আউয়াল, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক মো. শামসুজ্জামান ভূইয়া, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের আঞ্চলিক কার্যালয় দিনাজপুরের উপ-মহাপরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, দিন মজুরের সন্তান সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে এ তহবিল থেকে তিন লাখ করে টাকা শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হয়। এদিকে, কোনও শ্রমিকের সন্তান যদি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শ্রমিককল্যাণ তহবিলের নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করলে তাদেরও ৫০ হাজার টাকা শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা-প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় দুর্ঘটনায় হাত হারানো চা-শ্রমিক মহাবির করকে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক দেন।
এ সময় বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি মাখন লাল কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।