নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিবেদন চেয়ে আইজিপিকে চিঠি দেবে ইসি

নির্বাচন ভবননয়াপল্টনে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা জানতে পুলিশ প্রধানকে (আইজিপি) চিঠি দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে চিঠির একটি খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে ওই ঘটনার সার্বিক বিষয়ে প্রতিবেদন চাওয়া হচ্ছে। রবিবার (১৮ নভেম্বর) চিঠিটি পাঠানোর কথা রয়েছে।

খসড়া চিঠির নির্দেশনাতে বলা হয়েছে, মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৪ নভেম্বর বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়পত্র সংগ্রহ ও জমাদানকালে লোক সমাগমে রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ রাস্তায় যান চলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এ নিয়ে দুপুরে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। উচ্ছৃঙ্খল লোকজন কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং পুলিশের দু’টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এতে কর্তব্যরত পুলিশসহ অনেকে আহত হয়। চিঠিতে ধারণকৃত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য-প্রমাণাদিসহ একটি প্রতিবেদন কমিশনে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হবে।

চিঠিতে ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কোনও ব্যক্তিকে যেন অকারণে হয়রানি করা না হয় এবং একইসঙ্গে এ ঘটনার জন্য নিরাপরাধী ব্যক্তিকে কোনও মামলায় জড়ানোর কারণে নির্বাচনি পরিবেশ ও সুষ্ঠু আবহ যেন বিঘ্নিত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চিঠি প্রস্তুত করা হচ্ছে। এটি আগামী ররিবার পাঠানো হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের পরও ওইদিনই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে সাক্ষাৎ করে ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ি করে এর প্রতিকার চায়। ওই সময় ইসি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। একইদিনে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে সাক্ষাৎ করে বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযোগ তুলে তার বিচার দাবি করে।

দুই দলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পর নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, কমিশন ওই ঘটনার বিষয়ে আইজিকে চিঠি দিয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেবেন।