২০১৮ সালে ১৫ জন নতুন রাষ্ট্রদূত ঢাকায় নিযুক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জার্মানি ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত। আগামী সোমবার (৭ জানুয়ারি) শপথ নেবেন নতুন সরকারের নতুন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশে তিন বছর কাজ করার পর তার নতুন কর্মস্থল ওয়াশিংটনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। আবার যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত এলিসন ব্লেকও ঢাকায় তিন বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। পরবর্তী রাষ্ট্রদূত সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব দেশেরই রাষ্ট্রদূত তুলনামূলকভাবে নতুন এবং তাদেরকে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতে হবে।
জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মাদ তৌহিদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিপক্ক এবং এর ফলে নতুন রাষ্ট্রদূত এলে নীতিগত কোনও পরিবর্তন হয় না।’
মোহাম্মাদ তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ঢাকা ও এখানকার লোকদের চিনতে নতুন রাষ্ট্রদূতদের কিছুটা সময় লাগে এবং এরপরে তাদের ব্যক্তিগত কর্মতৎপরতার ওপর সম্পর্ক দৃঢ় হয়।’
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মাদ তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘নতুন সরকারের কারণে রাষ্ট্রদূতদের কিছুটা সুবিধা হতে পারে। কারণ, সরকার গঠন হলে রাষ্ট্রদূতরা সরাসরি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।’
‘বাংলাদেশে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাজ করতে তেমন সমস্যা হয় না। কারণ, সরকার তাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়। শুধু কয়েকটি দেশ বা ব্যক্তিত্বের সংঘাত না হলে, এখানে বিদেশিদের পক্ষে কাজ করা সহজ’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় নির্বাচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আগামী সোমবার (৭ জানুয়ারি) নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করবেন।