ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন ও ঢাকার দুই সিটির নবগঠিত ৩৬ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রস্তুতি পর্বের ধারাবাহিকতাকে বজায় রেখে চলেছে বলে সিইসি মন্তব্য করেন।
সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘অনেক পরিশ্রম করে, প্রতিকূলতার মধ্যে, সমালোচনার মধ্যে এবং নানা রকমের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আপনারা নির্বাচনের উত্তরণ ঘটিয়েছেন এবং তার জন্য দেশ পরিচালনার জন্য একটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে। সে কারণে আপনাদের ধন্যবাদ। আবার নতুন করে রাজধানী শহর ঢাকার নির্বাচনের দায়িত্ব আপনারা পালন করছেন। তার গতির ধারা অব্যাহত থাকবে সেটাই আমি প্রত্যাশা করতে পারি।’
সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা এখন মেয়র বা কাউন্সিলর হবে তারা এক বছর হাতে পাবেন। তারপর আবার ২০২০ সালের এপ্রিল মে মাসের দিকে পুরো নির্বাচন হবে।’
সিইসি বলেন, ‘গুরুত্ব অনুসারে যেভাবে নির্বাচন করা দরকার, যেভাবে নির্বাচন করতে আমরা অভ্যস্ত এবং জাতিকে যেভাবে নির্বাচন উপহার দিয়েছেন আপনারা সেভাবেই হবে। শুধু এই জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, বিভিন্ন পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে, জেলা পরিষদে, উপজেলা পরিষদে যেভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে নির্বাচনগুলো করেছেন, সেভাবেই গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। তার কারণ হলো, মেয়াদ যাই থাক না কেন, ঢাকা সিটিতে নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে রকম দায়িত্ব আপনারা পালন করেছেন, প্রশংসিত হয়েছেন, নন্দিত হয়েছেন বিভিন্নভাবে, দেশি-বিদেশি অবজারভার যারা ছিল, এখানে যারা সাংবাদিক ছিল তারা আপনাদের ব্যাপারে কখনও যে দায়িত্ব পালন করেছেন সে ব্যাপারে কোনও রকমের বিরূপ মন্তব্য করতে পারেনি, করেনি। সুতরাং আপনাদের মধ্যে স্বচ্ছতা ছিল, নিরপেক্ষতা ছিল, ধৈর্য ছিল এবং সাহসিকতা ছিল সে কারণে। যে যাই বলুক না কেন।’
তিনি বলেন, ‘আরেকটা কথা হলো, অনেকে অনেক তির্যক কথা বলবেন। অনেকে অনেক উপদেশমূলক কথা বলবেন, গম্ভীর গম্ভীর কথা বলবেন। সেখান থেকে যতটুকু আহরণ করা দরকার করবেন, প্রয়োগ করা দরকার করবেন এবং সবচেয়ে বড় কথা আপনারা নিজের মেধা, নিজের যোগ্যতা, নিজের বুদ্ধিমত্তা, নিজের সাহস, নিজের নিরপেক্ষতা এবং নিজের যে আস্থা সেটা সব থেকে বড় কথা। সুতরাং কবিতা এবং গল্প দিয়ে আপনাদের পেট ভরানো যাবে না। সেটা আপনাদের নিজস্ব সত্তা আছে, নিজস্ব যে দায়িত্ব আছে, নিজস্ব যে জ্ঞান আছে সেটাই প্রয়োগ করার একমাত্র জায়গা হলো নির্বাচন কমিশনের যারা দায়িত্ব পালন করবেন তারা।’
আরও পড়ুন- সুষ্ঠু দাবি করলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়ে যাবে এমন কোনও কথা নেই: মাহবুব তালুকদার