জামায়াতের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (সংগৃহীত ছবি)




যুদ্ধাপরাধীর দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার রায়ে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত বলে উল্লেখ করেছেন। দল হিসেবে জামায়াতের বিচার প্রক্রিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য আবারও ওই সংশোধনী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।
মন্ত্রী জানান, নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকলনবিসদের চাকরি রাজস্ব খাতে ন্যস্ত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
জেলেদের মাঝে ১৪ লাখ ২০ হাজার পরিচয়পত্র বিতরণ

ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু জানান, ‘জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয় প্রদান’ প্রকল্পের আওতায় (জুন ২০১৭) ১৬ লাখ ২০ হাজার মৎস্যজীবী-জেলের নিবন্ধন করাসহ ডাটাবেজ প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলেকে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে।
‘শিগগিরই তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি’
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানান, ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সইয়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ২০১১ সালে তিস্তা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানিবণ্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, অচিরেই সমতা, ন্যায়ানুগতা ও পারস্পরিক ক্ষতি না করার নীতির ভিত্তিতে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সম্পাদন হবে।

সরকারি দফতরে শূন্যপদ সাড়ে ৩ লাখ
সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, সরকারি দফতরগুলোতে বর্তমানে তিন লাখ ৩৬ হাজার ৭৪৬টি পদ শূন্য রয়েছে। শূন্যপদে লোকবল নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া।
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে (জানুয়ারি ২১০৯) সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে সিনিয়র সচিব পর্যন্ত চার হাজার ৪৯৬ জন কর্মরত।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সিনিয়র সচিব ১০ জন, সচিব ৪৪ জন, ভারপ্রাপ্ত সচিব ২১ জন, অতিরিক্ত সচিব ৫৪১ জন, যুগ্ম সচিব ৭৪৩ জন, উপ-সচিব এক হাজার ৮৪৫ জন ও সিনিয়র সহকারী সচিব এক হাজার ২৯০ জন।
সংসদে দেওয়া জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, এসব কর্মকর্তার মধ্যে এক হাজার ৩৪১ জন ডেপুটেশনে রয়েছেন। এদের মধ্যে সিনিয়র সচিব একজন, সচিব সাতজন, ভারপ্রাপ্ত সচিব নয়জন, অতিরিক্ত সচিব ২২৪ জন, যুগ্ম সচিব ৩১৫ জন, উপ-সচিব ৫৮৯ জন এবং সিনিয়র সহকারী সচিব ১৯৬ জন।