কিমিয়াও ফ্যান রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এসময় তিনি এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসাধারণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভুয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ঘনবসতির দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ অসাধারণ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতেই আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকার দেশের উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে উল্লেখ করে বলেন, ‘১৯৭৫-এর পর এ উন্নয়ন সামরিক শাসকদের হাতে চরমভাবে অবহেলিত হয়েছে। আমাদের সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং মৌলিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন নিরলসভাবে কাজ করছে।’
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এছাড়া বিদ্যুৎ খাতেও বিরাট অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, ‘আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো একটি উন্নত ও সমৃদ্ধি দেশ হওয়া।’
শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালককে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে তিনি কীভাবে মায়েদের প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করেছেন তা অবহিত করেন। খবর বাসস।