তুরাগ তীরে সা’দ বিরোধীদের ইজতেমা একদিন আগেই শুরু

বিশ্ব ইজতেমা (ফাইল ছবি)

সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামীকাল শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে মাওলানা সা’দ বিরোধীদের ইজতেমা শুরু করার কথা ছিল। তবে আজ বৃহস্পতিবারই (১৪ ফেব্রুয়ারি) ইজতেমা শুরু করে দিয়েছেন তারা। আজ ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেছে তাবলিগ জামাতের মওলানা সাদবিরোধী অংশের ইজতেমা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মাগরিবের আগে আখেরি মোনাজাত করে তারা ইজতেমা মাঠ ত্যাগ করবেন। অন্যদিকে মাওলানা সা’দ অনুসারীদের ইজতেমা শুরু হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি। মাওলানা সা’দকে কেন্দ্রে করে তাবলিগে দুইভাগ হওয়ার কারণে এবারই প্রথম ইজতেমাও বিভক্ত হলো।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর মাওলানা আবদুল মতিন ইজতেমার কার্যক্রম শুরু করেন। এছাড়াও মাওলানা সা’দবিরোধী অংশের অন্য মুরুব্বিরাও বয়ান করছেন। বিকালে আসরের নামাজের পর পাকিস্তানের তাবলিগের শুরা সদস্য মাওলানা উবাইদুল্লাহ খুরশীদ বয়ান করবেন।
তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষকে সমঝোতায় এনে অভিন্ন ইজতেমা আয়োজনের চেষ্টা ছিল সরকারের। তবে মাওলানা সা’দকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ অনড় থাকায় দফায় দফায় বৈঠক করেও অভিন্ন ইজতেমা আয়োজনে একমত করা যায়নি তাদের। সর্বশেষ ৫ ফেব্রুয়ারি তাবলিগের দুপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। বৈঠকে পৃথকভাবে ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হয়। সিদ্ধান্ত হয় এ বছর চারদিন ইজতেমা হবে। সা’দবিরোধী অংশ ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা পরিচালনা করবে। সাদ অনুসারী অংশ ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা পরিচালনা করবে। দুই দিন করে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত হলেও দুইপক্ষই একদিন করে বাড়িয়েছে তাদের কার্যক্রম। সা’দবিরোধীরা সরকার নির্ধারিত সময় থেকে একদিন আগে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি তিন দিন ইজতেমা করবে। আর বিরোধীরা সরকার নির্ধারিত ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারির পর ১৯ ফেব্রুয়ারিও ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
সা’দবিরোধী অংশের তাবলিগের দায়িত্বশীল সাথী জহির ইবনে মুসলিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ মাঠে এসেছেন। পাকিস্তানের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা জিয়াউল হক ও মাওলানা উবাইদুল্লাহ খুরশীদ ইজতেমার মাঠে পৌঁছেছেন। আজ ভারতের নিযামুদ্দীনের অন্যতম মুরুব্বি মাওলানা আহমদ লাট সাহেবসহ অন্যরা আসবেন।’

আরও পড়ুন- 

ইজতেমা পৃথক করেও সংঘাতের আশঙ্কা


ইজতেমায় দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতা বরদাশত করা হবে না: র‍্যাব ডিজি