পরিবারের তিন সদস্যের লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা

নিখোঁজ নুসরাত ও লিপুচকবাজার ট্র্যাজেডিতে একই পরিবার তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। তারা হলেন,  নাসরিন জাহান (২৪), তার স্বামী সালেহ মো. লিপু (৩২) ও সন্তান আবু তাহির। এখনও তাদের লাশ শনাক্ত করতে পারেনি স্বজনরা। তাই তো আজ লাশ শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন পরিবারের অন্য দুই সদস্য। সেখানেই এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় নাসরিনের ভাই আনোয়ার হোসেন রনির।

বোনের লাশ শনাক্ত করতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ডিএনএ নমুনা দেওয়ার জন্য মাকে নিয়ে এসেছিলেন রনি। তিনি বলেন, ‘আমরা তিন ভাই এক বোন। আমরা পুরান ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা। আমার বোনের স্বামী ঘটনার রাতে বোনকে নিতে আশিক টাওয়ারে যায়। অগ্নিকাণ্ডের ১০ মিনিট আগে তারা সেখান থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। সেটা অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেছে দেখা গেছে। আমার বোন ইডেন কলেজ থেকে অ্যাকাউন্টিংয়ে মাস্টার্স শেষ করে হাজি সেলিমের মালিকানাধীন আশিক টাওয়ারের অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ করতো।’

নুসরাতের ভাই রনিরনি বলেন, ‘ঘটনার রাতে বোন, বোন-জামাই ও  তাদের ছেলে একসঙ্গেই ছিল। আশিক টাওয়ার থেকে তাদের বাসায় যাওয়ার একটাই রাস্তা। ওই রাস্তাতেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হয়তো ২-৪ মিনিট সময় পেলে তারা আগুন থেকে বেঁচে যেতে পারতো। আমার আম্মা বোনের মরদেহ শনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা জমা দিতে এসেছে। আর ভগ্নিপতির জন্য তার বাবা লাল মিয়া ডিএনএ দিতে এসেছেন।’

পলাশ নামের একজন বলেন, ‘লিপু ভাই রাতে ভাবিকে অফিস থেকে আনতেই গিয়েছিলেন। তারা যে আগুনের মধ্যেই পড়েছেন এটা আমরা নিশ্চিত। এখন আমরা তিনজনের মরদেহ খুঁজছি।’