ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে এই মার্কেটে আগুন নির্বাপনের কোনও ব্যবস্থাই ছিল না। ৫ টা ৪৮ মিনিটে আমরা আগুন লাগার খবর পাই। ৫টা ৫৫ মিনিটে আমাদের নির্বাপনের কাজ শুরু হয়। এখানে কাজ করতে গিয়ে আমাদের পানির স্বল্পতার মধ্য পড়তে হয়েছিল।’
কি কারণে আগুন লেগেছে, কত ক্ষতি হয়েছে তদন্ত ছাড়া তা বলা সম্ভব না বলেও জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক শামিম হাসানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে ফায়াস সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এই মার্কেটে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। একারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরবেলা একই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে তিন থেকে চার বার মার্কেট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, কাঁচাবাজারে প্রায় ৩শ’ দোকান রয়েছে। দোকানগুলো সব পুড়েছে। শনিবার ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে কাঁচাবাজারে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে।
আরও পড়ুন-
যেকোনও মূল্যে এটাকে ভেঙে মার্কেট তৈরি করতে হবে: হানিফ
গুলশান কাঁচাবাজারে আগুন: ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের কমিটি
‘ঋণ করে দোকান করেছি, সব পুড়ে ছাই’
মার্কেট কর্তৃপক্ষকে চার বার সতর্ক করা হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস
এই মার্কেটে অগ্নিনির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা নেই: ডিএনসিসি মেয়র