মোদিকে হাসিনার ফোন আন্তরিকতার প্রতিফলন: ভারত

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হওয়ায় দলটির নেতা নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই ফোন কলকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও আন্তরিক সম্পর্কের প্রতিফলন হিসেবে বর্ণনা করেছে দিল্লি।

nonameবৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম যে কয়েকজন বিদেশি নেতা অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাদের মধ্যে অন্যতম। এতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও আন্তরিক সম্পর্ক এবং দুই নেতার মধ্যে চমৎকার সম্পর্কের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উভয় নেতা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এক অনন্য নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কাজ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।’

ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্সের (এনডিএ) বিশাল বিজয়ের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদি-কে ফোন করে আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, পাঁচ মিনিটের টেলিফোন আলাপে তারা নিরাপত্তা, পরিবহন, জ্বালানি ক্ষেত্রে অংশিদারিত্ব এবং দুই দেশের জনগণ পর্যায়ে সম্পর্ক গভীরতর করার চলমান পরিকল্পনাগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার গুরুত্বের বিষয়টিও তারা স্বীকার করেন।

টেলিফোন আলাপকালে শেখ হাসিনা মোদিকে বলেন, ‘এই বিশাল বিজয় আপনার প্রতি ভারতীয় জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে।’ একে অন্যতম ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিজয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ খুশি হবে এবং তারা একসঙ্গে কাজ করতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন আলাপে নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তার সাফল্য, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

উল্লেখ্য, সাত দফায় অনুষ্ঠিত ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা হয় গত ২৩ মে। এদিন নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ফল অনুযায়ী ৫৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট এগিয়ে রয়েছে ৯১টি আসনে। ইতোমধ্যেই পরাজয় স্বীকার করে মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সূত্র: বাসস।