ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় লাগবে জিডিপির আড়াই শতাংশ

ডেল্টা প্ল্যান-২০২১

বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা- ২১০০ (ডেল্টা প্ল্যান) বাস্তবায়নে প্রয়োজন হবে মোট দেশজ আয়ের (জিডিপি) আড়াই শতাংশ। এর মধ্যে দুই শতাংশ সরকারি খাত ও বাকি শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ বেসরকারি খাত থেকে নির্বাহ করতে হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতায় বাজেট বক্তৃতার বড় অংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঠ করেন।

ব-দ্বীপ পরিকল্পনার বিষয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যায়ের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে। তাই ‘নিরাপদ, জলবায়ু পরিবর্তনে অভিঘাতসহিষ্ণু সমৃদ্ধশালী ব-দ্বীপ গড়ে তোলা‘- এ রূপকল্পকে সামনে নিয়ে সরকার ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০‘ নামে অভিযোজনভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি, সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মোট দেশজ আয়ের ২.৫ শতাংশ অর্থের প্রয়োজন পড়বে যার মধ্যে প্রায় ২ শতাংশ সরকারি খাত হতে এবং ০.৫ শতাংশ অর্থায়ন বিভিন্ন উদ্যোগের আওতায় বেসরকারি খাত হতে নির্বাহ করতে হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদী ভাঙন, নদী খনন, নদী শাসন এবং নৌপরিবহনসহ নদী ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় হবে মোট বিনিয়োগের ৩৫ শতাংশ। প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ব-দ্বীপ পরিকল্পনার অধীনে ৮০টি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে অর্থমন্ত্রী তার বক্তৃতায় জানান।

উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট সংসদে পেশ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৫৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা বেশি।