মঙ্গলবার (১৮ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
আইনমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলা ৩০ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭০টি। এর মধ্যে দেওয়ানি ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৬০০ এবং ফৌজদারি ১৭ লাখ ২৫ হাজার ২৭০টি।
উচ্চ আদালতের বিচারাধীন মামলার মধ্যে আপিল বিভাগে রয়েছে ২১ হাজার ৮১৩টি। এর মধ্যে দেওয়ানি ১৪ হাজার ২৩টি, ফৌজদারি ৭ হাজার ৬৫৫টি এবং অন্যান্য (কনটেম্ট পিটিশন) মামলা ১৩৫টি। হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন ৫ লাখ ৬ হাজার ৬৬৪ মামলার মধ্যে দেওয়ানি ৯৬ হাজার ১১৪, ফৌজদারি ৩ লাখ ১৭ হাজার ৪৪৩ এবং অন্যান্য ৯৩ হাজার ১০৭টি।
আনিসুল হক জানান, বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটি আধুনিক বিচার বিভাগ ও বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে সারাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এবং মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কার্যকর ও দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হবে।
পারিবারিক আদালতে মামলা ৬০ হাজার
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, দেশের পারিবারিক আদালতে (৩১ মার্চ পর্যন্ত) বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫৯ হাজার ৮৬০টি।
আইনমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৬৪ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা ঢাকা জেলায়, ৫ হাজার ৫০৯টি। বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে এ ধরনের মামলা নেই।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ৩০ জনকে সাজা দিয়েছেন।