লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে তাদের পাঠানোর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। দূতাবাস সূত্রে আরও জানা যায়, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমের সহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এরআগে, দূতাবাসের পক্ষ থেকে আটকে পড়া সব বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে এমন নিশ্চয়তা দেওয়া হলে তিন সপ্তাহ ভেসে থাকার পর ১৮ জুন জারজিস বন্দরে তাদের নামার অনুমতি দেয় তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ। এরপর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট ও আইওএমের যৌথভাবে পরিচালিত শেল্টার হাউজে তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
দূতবাসের পক্ষ থেকে আইওএমের সহায়তায় তাদের দেশে ফেরার জন্য টিকেটের ব্যবস্থা করা হয়। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, এর মধ্যে ৮ জন দেশে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাদেরকে দেশে পাঠানোর জন্য রাজি করাতে দূতাবাস কাজ করছে। এছাড়া তৃতীয় ধাপে আরও ২৪ জনকে দেশে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গেছে।
আইওএমের এক কর্মকর্তা জানান, তারা দেশে ফিরে আসার জন্য প্লেনের টিকেটের ব্যবস্থা করেছেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তিউনিসিয়ার সাগরে একটি নৌকায় ভাসছিলেন ৭৫ জন শরণার্থী, যাদের মধ্যে ৬৪ জনই বাংলাদেশি। নৌকাটি তিউনিসিয়ার উপকূলের কাছে পৌঁছালেও কর্তৃপক্ষ তীরে নামার অনুমতি দেয়নি। তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের শরণার্থী কেন্দ্রে আর জায়গা দেওয়া সম্ভব না। ফলে ওই নৌকাটি উপকূলীয় জারজিস শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সাগরে ভাসতে থাকে।