বাজেট স্মার্ট নয়: জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম

 

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামঅর্থমন্ত্রী দাবি করলেও এবারের বাজেট স্মার্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন স্মার্ট বাজেট দেবেন। কিন্তু বাজেট মোটেই স্মার্ট হয়নি। বরং বাজেটের পদে পদে গোজামিল ও শুভঙ্করের ফাঁকি।’ বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯–২০২০ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হওয়ার পর বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সরকারি ও বিরোধী দলের প্রায় অর্ধশতাধিক সংসদ সদস্য বাজেটের ওপর আলোচনা করেন।

ফখরুল ইমাম বলেন, তাজউদ্দিন আহমদ যে বাজেট দিয়েছিলেন, তা ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার। এবারের বাজেট তার প্রায় ৬৩৬ গুণ। বাজেটের আকার বা টাকার পরিমাণ বিষয় নয়, বিষয়টা হচ্ছে আদর্শের। তাজউদ্দিনের বাজেট আর বর্তমান বাজেটের দর্শনগত ভিত্তি বিপরীত। তাজউদ্দিনের বাজেট ছিল সমাজতন্ত্রমুখী, আর গত তিন দশকের বাজেট হলো পুঁজিবাদের নয়া উদারবাদী বাজেটের ধারা।

বাজেট বক্তৃতায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ স্মার্ট ফোনের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, এতে ডিজিটাইজেশনের গতি বাধাগ্রস্থ হবে। তিনি বলেন, শিশু ও নারী ধর্ষণ, নির্যাতনের বিষয়ে সরকারের আরও দৃষ্টি দেওয়া দরকার।

বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ আছে। বিষয়টা এমন নয় যে, নৌকায় পাল লাগিয়ে দূরন্ত গতিতে এগিয়ে যাবো, আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আর সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ধৈর্য ও সক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর আছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা এখনও তৎপর। তাদের কারণে ভালো সিদ্ধান্ত নষ্ট হতে বসেছে। বাড়ি ভাড়ার কোনও নিয়ম-নীতি নেই, বাড়ি ভাড়া বছর বছর বাড়ছে।

বাজেট আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন- স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল হোসেন, সরকারি দলের এ কে এম শাহজাহান কামাল, এবি তাজুল ইসলাম, মুহিবুল হক মানিক, শিরিন আহমেদ, আসলাম হোসেন সওদাগর, কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, জুনায়ের আহমদ, রমেশ চন্দ্র সেন, বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন, আয়শা ফেরদাউস প্রমুখ।