‘অপ্রধান শস্য উৎপাদনে ৪ শতাংশ সুদে কৃষিঋণ দেবে সরকার’

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যঅপ্রধান শস্য উৎপাদনে সরকার ৪ শতাংশ সুদে কৃষিঋণ দেবে বলে জানিয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) একটি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে এবং শিগগিরই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের ইস্রাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

ওই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সমবায়ী কৃষকদের সিঙ্গেল ডিজিটের সুদহারে কৃষি ঋণ দিতে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিআরডিবি  ‘দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে পুষ্টি সমৃদ্ধ উচ্চ মূল্যের অপ্রধান শস্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ কর্মসূচি’ শীর্ষক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় সব কৃষক অপ্রধান শস্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া ‘পল্লী উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে বিআরডিবি’র অদম্য অভিযাত্রা প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৮ শতাংশ সুদে সমবায়ী ঋণ প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।’

ঢাকার এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে স্বপন ভট্টাচার্য্য জানান, বর্তমানে কৃষক সমবায় সমিতির সংখ্যা ৫৪ হাজার ২০২টি। এর সদস্য সংখ্যা ১৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৪৩ জন। এসব সমিতির মূলধনের পরিমাণ ১৭৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে শেয়ার ৬৬ কোটি ৯৭ লাখ ৯৫ হাজার ও সঞ্চয় ১১০ কোটি ৭৭ লাখ ৫ হাজার।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সমবায় সমিতির মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষিভিত্তিক কর্মকাণ্ডের বিপরীতে তিন হাজার ৭৩৪ কোটি ৭০ লাখ ৫৪ লাখ টাকা ঋণ প্রদান, সেচ কার্যক্রমে ১৮ হাজার ৩৬০টি গভীর নলকূপ, ৪৪ হাজার ৫২৩টি অগভীর নলকূপ,২৭ হাজার ৩০০টি হস্তচালিত পাম্প ও ১৯ হাজার ৪০৫টি শক্তিচালিত পাম্প বিতরণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানান, ‘সবার জন্য নিরাপদ পানি’ সরকারের এই ভিশনকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজধানীর বস্তিবাসীদের আগামী ডিসেম্বর, ২০১৯ এর মধ্যে বৈধ ও নিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে।

কিশোরগঞ্জের আফজাল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম জানান, শত ভাগ স্যানিটেশন কাভারেজের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে ৯৯ শতাংশ জনগণ মৌলিক স্যানিটেশনের অন্তর্ভুক্ত। মৌলিক স্যানিটেশনের দিক থেকে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।