বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ভূয়সী প্রশংসা করলেন রানি ম্যাক্সিমা



download-3-4নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা ডিজিটাল আর্থিক সেবা সহজীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের যে বিকাশ ঘটেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি আর্থিক সেবায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে বাংলাদেশকে সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে রাজধানীতে হোটেল সোনারগাঁওয়ের প্যাসিফিক লাউঞ্জে দেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ প্রশংসা করেন।
বৈঠক শেষে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আরএফ হোসেন রানি ম্যাক্সিমাকে উদ্ধৃত করে এসব কথা জানান।
ডাচ রানি ম্যাক্সিমা গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ৩ দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।
রুবানা হক বলেন, পোশাক খাতে এমন ইকো-সিস্টেম ব্যবস্থা দাঁড় করাতে হবে, যাতে শতভাগ শ্রমিককে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসা যায়। এ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। রানি বলেছেন, প্রয়োজন হলে বিশ্বের যেসব প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল আর্থিক সেবা নিয়ে ভালো কাজ করছে, তাদের সঙ্গে কারিগরি জ্ঞান বিনিময়ের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে তিনি সহায়তার আশ্বাস দেন।
রানি ম্যক্সিমা বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ জোরদারে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন বলে জানান।
রানি ম্যাক্সিমাকে উদ্ধৃত করে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে বড় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তবে আর্থিক সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনও লিঙ্গবৈষম্য রয়ে গেছে। পুরুষদের তুলনায় নারীরা ডিজিটাল আর্থিক সেবা বা ব্যাংকিং সেবা পাওয়ায় পিছিয়ে আছে। এই বৈষম্য কমাতে আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা আরও কীভাবে ডিজিটালাইজড করা যায়, এ নিয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
রানি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতে ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। এদের কেবলমাত্র অনলাইনে বেতন পরিশোধ করলে চলবে না, শ্রমিকরা যেন তাদের কেনাকাটা বা অন্যান্য লেনদেন অনলাইনে করতে পারে, সে ধরনের ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি সহায়তা করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, রানি ম্যাক্সিমা জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স ফর ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক বিশেষ পরামর্শক। বিশ্বব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা জোরদার, দারিদ্র্য নিরসন, খাদ্য নিরাপত্তা ও শিক্ষার মতো উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডাচ রানি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। বাসস।