সড়কে হাঁটুপানি, রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ

ছবিটি নয়াপল্টন এলাকা থেকে শুক্রবার দুপুরে তোলা বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি জমে গেছে। কোথাও কোথাও হাঁটুপানি দেখা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা আর যানজটে হাবুডুবু খাচ্ছে নগরবাসী। বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। সকাল থেকে মাঝারি আর ভারী বর্ষণের কারণে এমন দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। শুক্রবার (১২ জুলাই) নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা আর উন্নয়ন-খোঁড়াখুঁড়ির কারণেই দীর্ঘ সময় ধরে এই পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে দুপুরে মিরপুরের কাজীপাড়ার পুরো সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলাচল করছে। সেখানে বেশ কয়েকটি যানবাহন বিকল হয়ে গেছে। গণপরিবহন না পেয়ে নগরবাসীকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। ওই এলাকার সড়কে যানবাহনের পাশাপাশি নৌকাও চলতে দেখা গেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন বলেন, ‘জলাবদ্ধতা মিরপুরের জন্য বড় একটি সমস্যা। গত কয়েক বছর ধরে নগরবাসী এর যন্ত্রণা ভোগ করলেও সিটি করপোরেশন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এ বছরও বৃষ্টি হলেই হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি জমে যায়। পানির মধ্যে যানবাহনও চলতে পারে না। বিকল হয়ে পড়ে। অনেকেই সড়কে নৌকা নামিয়ে দিয়েছেন।’

সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় পানি এদিকে বৃষ্টিতে নগরীর খিলগাঁও এলাকায় পানি জমে থাকার চিত্র তেমন দেখা না গেলেও এখানে সড়কগুলোতে সিটি করপোরেশন ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে। খোঁড়াখুঁড়ির মধ্যে বৃষ্টি ওই এলাকায় দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। সড়কগুলোতে পানি আর কাদামাটি একাকার হয়ে পড়েছে।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ধানমন্ডি ২৭ নম্বরেও পানি জমে গেছে। এই এলাকাটি অপেক্ষাকৃত নিচু হওয়ায় সড়কে জমে থাকা পানিতে যানবাহন চলাচল করলে বড় বড় ঢেউ উঠছে। পাশাপাশি সড়কটিতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ সিটির রাজারবাগ এলাকায়ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় খবর পাওয়া গেছে।

জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যা ছিল শান্তিনগর এলাকা। আমরা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ওই এলাকার জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখন বৃষ্টি হলে ঢাকা দক্ষিণে বড় ধরনের জলাবদ্ধতা হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা আছে। কোথাও জলাবদ্ধতা দেখা দিলে তারা সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করে দেন। তাছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পরিচ্ছন্নতা-পরিদর্শকরা কাজ করছেন।’

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন