ওয়াসার ১১ পয়েন্টে দুর্নীতি হয়: দুদক

ওয়াসাস্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে ওয়াসার দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি জানান, ওয়াসার ১১টি পয়েন্টে দুর্নীতি হয় বা হতে পারে বলে তারা চিহ্নিত করতে পেরেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেন দুদক কমিশনার। তিনি জানান, এটা সরকারের অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ১৪তম প্রতিবেদন। মোট ২৫টি প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করবেন তারা।

দুদক কমিশনার বলেন, ‘মিরপুরে ৫২১ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে ৫২ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে। কাজের মান ও পরিমাপের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসূত্র করে এই অনিয়ম হয়েছে। ঢাকা মহানগর পানি সংগ্রহ প্রকল্পে ৫৫২ কোটি টাকা বেশি ব্যয় দেখানো হয়েছে। সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এই কাজ সময়ের মধ্যে শেষ হওয়া সম্ভব না। দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, এই কাজগুলো ওয়াসার কর্মকর্তাদের পছন্দের ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে বা এ সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওভারটাইম না করেই বিল নেয়।’

তিনি জানান, ওয়াসার বার্ষিক প্রতিবেদন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও দুদকের নিজস্ব অনুসন্ধানে এসব চিত্র উঠে এসেছে। দুদক এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে ১২টি সুপারিশ করেছে।

ওয়াসায় দুর্নীতির এই প্রতিবেদন বিষয়ে মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। দুদকের এই প্রতিবেদন আমরা আমলে নিয়েছি। সরকারের কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারী এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে বিচার করা হবে।’

আরও পড়ুন- সরকারি কর্মকর্তারা সরল বিশ্বাসে দুর্নীতিতে জড়ালে তা অপরাধ হবে না: দুদক চেয়ারম্যান