বুড়িগঙ্গা ও কর্ণফুলীর দূষণ রোধে মাস্টারপ্ল্যান শেষ হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামস্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘বুড়িগঙ্গাসহ চট্টগ্রামের কর্নফুলী নদীর দূষণ রোধ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শেষ হয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়েছে। এটি হবে তিন মেয়াদি। দুই বছরের স্বল্পমেয়াদি, পাঁচ বছরের মধ্যমেয়াদি ও ১০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি। এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে নদীর গতিপথ তৈরি হবে। নদী হবে দূষণমুক্ত।’
রবিবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘মূলত নয় কারণে নদী দূষণ হয়। এর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে শিল্প বর্জ্য। আমরা সব শিল্প বর্জ্য নদীতে ফেলি। আমরা এগুলো ডাম্পিং না করে ভ্যানিশ করার প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি।’
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘মাস্টারপ্ল্যান করতে আমাদের এক বছরের সময় লেগেছে। এটা বাস্তবায়ন হলে নদী দূষণ ও দখলমুক্ত হবে, নদীর নাব্য ফিরে আসবে।’
কবির বিন আনোয়ার আরও বলেন, ‘আমরা একদিকে নদী দখলমুক্ত করি, অন্যদিকে পুনর্দখল হয়। এটি রোধ করতে হলে নদীর পাড় ঘেঁষে ওয়াকওয়ে এবং স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। নদী দূষণমুক্ত করতে সাধারণ মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন।’
সচিব বলেন, ‘জলাবদ্ধতা রাজধানীতে এখন আর প্রকট সমস্যা নয়। অতীতে বাড্ডা, রামপুরা এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। এতে জনসাধারণের চলাচলে সমস্যা হতো। এখন আর সে সমস্যা নেই। ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।’