হঠাৎ কেন শুদ্ধি অভিযান: আকবর আলি খান

‘সুশাসন প্রতিষ্ঠায় শুদ্ধি অভিযান’ নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অতিথি ও প্রতিযোগিরাচলমান শুদ্ধি অভিযান নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে বলে  অভিযোগ করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। তিনি বলেন, ‘এই অভিযান কেন আরও আগে শুরু হলো না? আর হঠাৎ করেই বা কেন শুরু হলো, তার ব্যাখ্যা জানা প্রয়োজন।’ শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বর্তমান শুদ্ধি অভিযান’ শিরোনামে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে  তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।

ড. আকবর আলিন খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুদ্ধি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের মনে আশা জাগিয়েছেন। তবে মনে রাখতে হবে, এই অভিযান সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে পরিণত হলেই শুধু সফলতা আসবে।’ তিনি বলেন, ‘শুদ্ধি অভিযান সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে কিনা, এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অভিযান কতদিন চলবে, কত বছরে সফল হবে, ৬ মাস না ৬ বছর, না ১০ বছর চলবে, এ বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই।’

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে শুদ্ধি অভিযানের আর কোনও প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সুশাসন নিশ্চিত না হবে, ততক্ষণ দুর্নীতি, অরাজকতা, আইনের লঙ্ঘনসহ অসংখ্য সমস্যা চলতেই থাকবে।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করে আকবর আলি খান বলেন, ‘আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট দ্রুত দিতে হবে। বিচার যেন বিঘ্নিত না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।’

আকবর আলি খান বলেন, ‘বুয়েটের মতো ঘটনা দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ঘটতে পারে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘শুদ্ধি অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো সম্রাটদের গ্রেফতার করা হলেও ঘুষ, দুর্নীতি, ব্যাংক ও শেয়ারবাজার জালিয়াতির মাধ্যমে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন, তাদের গডফাদারদের বিচার এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। এখনও জানা যায়নি কোন কোন দুর্নীতিবাজ সরকারি আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়িরা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে প্রাসাদ বানিয়েছেন, ব্যবসা বাণিজ্যে বিনিয়োগ করেছেন, সেকেন্ড হোম করেছেন, বিদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের উচিত গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের নামের তালিকা তৈরি করে তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করা।’

প্রতিযোগিতার আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া ও লালমাটিয়া মহিলা কলেজ।