মানবাধিকার শক্তিশালী করতে একযোগে কাজ করবে ঢাকা-ইইউ

বাংলাদেশ-ইউরোপীয় ইউনিয়নদেশের শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার শক্তিশালী করার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ-ইইউ যৌথ কমিশনের বৈঠকে ইউরোপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে শ্রম অধিকারের মান উন্নত করার জন্য টেকসই সংস্কার ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশন অনুযায়ী শ্রম ব্যবস্থা দেখতে চায় তারা। বৈঠকে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে, ইউরোপে রফতানি বাড়ানো ও সেখান থেকে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার জন্য বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও ব্যবসায়িক পরিবেশ প্রয়োজন।

ইউরোপের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ যে শুল্ক-মুক্ত সুবিধা পাচ্ছে ও ভবিষ্যতে যে বাণিজ্য সম্পর্ক হবে, সেটি শর্তযুক্ত এবং এর সঙ্গে মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার জড়িত।

বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যদিও তৈরি পোশাক শিল্পে কারখানা সুরক্ষায় অনেক উন্নতি সাধন হয়েছে, তারপরও শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া বাকি রয়েছে। যৌথ সভায় বাংলাদেশ ও ইইউ এর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। গণতন্ত্র, সুশাসন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিচার-বহির্ভূত হত্যা ও গুম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউ। এর উত্তরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউ মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের জন্য অনুরোধ জানায়।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই আইনের কোনও ধারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য ব্যবহার করা হবে না বলে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।