তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পকে সুরক্ষা দিতে শেখ হাসিনার সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। এরমধ্যে এফডিসির দৈন্যদশা কাটাতে ৩২২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় একটি অত্যাধুনিক ভবন হবে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া রাজধানীর অদূরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কবিরপুরে ১০০ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটিকে আধুনিক করার পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনুদানের সিনেমা বানাতে এর পরিমাণ ৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে। অনুদানের ছবি আগে সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হতো না। এখন নিয়ম বেঁধে দিয়েছি। অনুদানের টাকায় নির্মিত ছবি সিনেমা হলে মুক্তি দিতে হবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকার একই সঙ্গে আর্ট ফিল্মেও অনুদান দেবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের বাংলা ছবি বিশ্ববাজার দখল করুক। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। যে কারণে সিনেপ্লেক্সের দিকে মানুষ ঝুঁকছে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি সিনেপ্লেক্স আছে। আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে সেখানে বেশ কয়েকটি সিনেপ্লেক্স নির্মিত হবে। সরকার এ বিষয়ে উৎসাহ দিচ্ছে। একই সঙ্গে বন্ধ সিনেমা হলগুলো পুনরায় চালু করতে হলগুলোকে আধুনিকায়ন ও হলের পরিবেশ উন্নত করতে স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদে ঋণ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি।’