রিজার্ভ চুরি: ফিলিপাইনের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ

রিজার্ভ চুরিবাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় ঢাকা-ম্যানিলা ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক হয়। বৈঠকে ম্যানিলার কাছে যারা এই অপকর্ম ঘটিয়েছে তাদের পরিচয় এবং কিছু আর্থিক তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে আজ দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (এশিয়া প্যাসিফিক) মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলার চার্জশিট দেওয়ার জন্য এটি আমাদের জানা প্রয়োজন।’
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রায় ৮২ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ১৬ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি অর্থ লন্ডারিং হয়েছে বলে আমরা জেনেছি।’
সচিব আরও বলেন, ‘বৈঠক শুরুর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফিলিপাইনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আলাদা বৈঠক হয়েছে। আমরা তাদের কাছে তথ্য চেয়েছি। তারা আমাদের তথ্য দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’
কবে নাগাদ তথ্য দেবে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এটির নির্দিষ্ট কোনও টাইম-টেবিল নেই। তাদের বিচার বিভাগের কাছে তথ্য রয়েছে। সেখান থেকে তারা আমাদের তথ্যগুলো দেবে।’
সচিব বলেন, ‘ফিলিপাইনের যে ব্যাংকের মাধ্যমে এই তহবিল চুরি করা হয়েছে, সে ব্যাংককে ২০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। আমরা ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষের কাছে ওই পরিমাণ ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছি। তারা আমাদের জানিয়েছে, ব্যাংক আইন না মানার জন্য ওই ব্যাংকের জরিমানা করা হয়েছে। কাজেই এই অর্থ বাংলাদেশকে দিতে গেলে জটিলতা তৈরি হবে।’
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘নিউ ইয়র্ক ও ম্যানিলাসহ বিভিন্ন জায়গায় এ বিষয়ে মামলা চলছে। এবং এটি একটি লম্বা প্রক্রিয়া।’
টাকা কবে ফেরত আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। এটি একটি সাইবার ক্রাইম। আমরা তাদের বলেছি যেকোনও দেশ এই ক্রাইমের শিকার হতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা এবং ম্যানিলা যদি একসঙ্গে কাজ করে সমাধান করতে পারে, তবে এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ফিলিপাইনের কাছে বাংলাদেশ সহায়তা চেয়েছে বলে জানান এই সচিব।