‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন’-এর খসড়ার অনুমোদন

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ছবি সংগৃহীত)মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন-২০২০-এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়রুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একক পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। কর্মজীবী মায়েদের সংখ্যাও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের মানসম্মত নিরাপদ স্থানে দিবাকালীন নিরাপদ ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচর্যার জন্য, শিশুর অবস্থানের জন্য সরকার অনুমোদিত কেন্দ্রের চাহিদা বাড়ছে। এ কারণেই মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন-২০২০-এর খসড়া প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই আইনে অধ্যায় সাতটি, ধারা ৪৯টি। আইনে চার ধরনের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। এগুলো হলো–১. সরকারের ভর্তুকি দিয়ে পরিচালিত কেন্দ্র, ২. সরকার অথবা সরকারি দফতর বা অধিদফতর বা পরিদফতর অথবা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা অথবা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে পরিচালিত কেন্দ্র, ৩. ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত কেন্দ্র এবং ৪. ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা বেসরকারি সংস্থা বা সংঘ বা সমিতি বা করপোরেট সেক্টর বা শিল্পখাতের মাধ্যমে অলাভজনক উদ্দেশ্যে পরিচালিত দিবাযত্ন কেন্দ্র। এই আইনে এসব কেন্দ্রের সেবার গুণগতমান, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, সুরক্ষা, বিনোদন, শিক্ষা, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা বা অনুরূপ বিষয়গুলোর মান নিশ্চিত করা হয়েছে।

সচিব জানান, আইনে প্রতিটি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুদের মায়ের দুধ খাওয়ানোর সুবিধা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের (স্পেশাল চাইল্ড) জন্য বিধি দ্বারা প্রয়োজনীয় অবকঠামোর সুবিধা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।

আইনটি পাস হলে কেউ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করতে চাইলে নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। এটি দেবে রেজিস্ট্রেশন অধিদফতর। রেজিস্ট্রেশন ফি কত হবে তা বিধিমালায় উল্লেখ থাকবে। এছাড়া রেজিস্ট্রেশন ছাড়া দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপনে ৫০ হাজার এবং দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।