শিশুপ্রহরেও ছিল বাসন্তি আর লাল

শিশুপ্রহরে আসা শিশুরাপ্রতিদিনের চেয়ে শুক্রবারের বইমেলা একটু অন্যরকম হয়। কারণ এদিন মেলায় শিশুদের জন্য  থাকে বিশেষ আয়োজন। তার ওপর বাড়তি হিসেবে ছিল বসন্তের প্রথম দিন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। তাইতো লাল-হলুদে সেজে বাবা-মায়ের হাত ধরে শিশুপ্রহরে এসেছিল তারা। তাদের সাজগোজই বলে দিচ্ছিল আজ বিশেষ দিন। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুরা মেতে ছিল হালুম,  টুকটুকি,  ইকরি-মিকরির আর শিকুর সঙ্গে।  

শিশুপ্রহরে আসা শিশুরা৫ বছরের আকৃতি সূত্রধর বাবা স্বপন কুমারের হাত ধরে মেলায় এসেছিল। তার সঙ্গে ছিল ১০ বছরের বোন সৃষ্টি সূত্রধর। শিশুপ্রহরে এসে সিসিমপুরের স্টল থেকে বই কিনেছে। আকৃতির পছন্দ শিশুপাঠ আর ড্রয়িং বুক। আর সৃষ্টিকে কিনেছে ঠাকুর মার ঝুলি আর আদর্শ লিপি।

শিশুপ্রহরে আসা শিশুরাপেশায় শিক্ষক স্বপন কুমার জানান, মেয়েদের নিয়ে ২০১৫ সালে থেকে প্রতিবছর বইমেলায় আসেন। তিনি বলেন,‘দুই মেয়েকে নিয়ে প্রতিবছরই মেলায় আসি। তাদের বইয়ের সঙ্গে পরিচিত করতে মূলত আসা।’

মায়ের সঙ্গে শিশুপ্রহরে আসা একটি শিশুশিশুদের বইয়ের প্রতি আগ্রহী করতে বইমেলায় রয়েছে বিভিন্ন আয়োজন। সিসিমপুরের হালুম-টুকটুকিরা শিশুদের নেচে-গেয়ে শোনায়। শিশুপ্রহরের স্টেজের চারপাশে লেখা ‘পড়া নতুন সুর, যাই চলো যাই সিসিমপুর’, ‘বই পড়ো, যত পারো’, ‘পড়ি বই, জানতে জানতে বড় হই’, ‘ইকরি গল্প শুনতে ভালোবাসে’, ‘পড়া খেলার নতুন সুর যাই চল যাই সিসিমপুর’ ইত্যাদি।

শিশুপ্রহর

উত্তরা থেকে মায়ের হাতধরে মেলায় এসেছে পাঁচ বছরের আহনাফ ওয়াসিত সাবিত ও তার ৯ বছরের বোন হুমায়রা তাসনিয়া লামিসা। সাবিতকে বই কিনে দিতে মায়ের কাছে বায়না ধরেছে। পরে মা তাকে ‘রূপ কথার ঝুলি’ কিনে দিয়েছেন।

শিশুপ্রহরসাবিতের মা মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষক ফারজানা লিনু বলেন, ‘এই প্রথম সাবিত আর লামিসাকে নিয়ে বই মেলায় এসেছি। বেশ ভালোই লাগছে। শিশুদের জন্য মেলায় এত সুন্দর আয়োজন!’

ছবি: নাসিরুল ইসলাম