সেনা সদস্যদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

বক্তব্য রাখছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি)  চট্টগ্রামের হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্টের চার আর্টিলারির জাতীয় পতাকা (ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড) প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতীয় পতাকা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। তাই পতাকার মান রক্ষা করা সব সৈনিকের পবিত্র দায়িত্ব। এই পতাকার সম্মান রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে তাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।’

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চারটি গোলন্দাজ রেজিমেন্টকে জাতীয় পতাকা (ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড) প্রদান করা হয়। জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন। প্রধান অতিথি প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং সেনাবাহিনী তথা দেশমাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির ইউনিটগুলোকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করা হয়। সেনাবাহিনীর ১, ২, ৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি এবং ৩৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারি জাতীয় পতাকা (ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড) প্রদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এবং প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা গ্রহণ করে।

জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এ সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সাজসজ্জায় সজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রপতি মহান মুক্তিযুদ্ধে সেনাসদস্যদের অংশগ্রহণ এবং যুদ্ধ পরবর্তীতে দেশ গঠন, বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ ও অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানে সাবেক সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতিকুর রহমান, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির সাবেক কর্নেল কমান্ড্যান্ট, জাতীয় পতাকা পাওয়া ইউনিটগুলোর সাবেক অধিনায়ক ও সুবেদার মেজর এবং আমন্ত্রিত বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।