বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলায় টাকার পরিমাণটি বড় বিষয় নয়। টাকার পরিমাণ দুই টাকা বা ২০০ কোটি টাকা হতে পারে, তবে এখানে বড় বিষয় দুর্নীতি। কারণ, টাকা ছিল এতিমদের। এতিমদের টাকা মেরে দেওয়া হয়েছে। এখানে দুর্নীতিটি হলো মুখ্য।’
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির দুই মামলায় কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। তার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীন, তবে সরকার যতটুকু চায় ততটুকু— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুদক শতভাগ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। যদি তা না হতো, তাহলে দুদকের মামলায় সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্যরা অভিযুক্ত বা দণ্ডিত হতেন না।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেন আদালত। ওই দিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ বাতিল চেয়ে করা আপিলে সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন উচ্চ আদালত। বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা চলছে। দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়া বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।