আরও ১ ইউপি চেয়ারম্যান ও ৬ সদস্য বরখাস্ত

 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ত্রাণ নিয়ে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ছয় ইউপি সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৫ মে) স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে এ বিষয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে এ নিয়ে মোট ৪৯ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তাদের মধ্যে ১৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ২৯ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং একজন পৌরসভার কাউন্সিলর।

মঙ্গলবার মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। আর সদস্যরা হলেন বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের রুবেল ইজারাদার ওরফে বাবুল মেম্বার, নড়াইল জেলার সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সেলিম মোল্লা, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজাউল করিম খান সোহাগ, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুজিবুর রহমান এবং ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য সাহিদা বেগম রূপা।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বিনা অনুমতিতে ইতালি গমন করেছেন এবং সেখানে অবস্থান করছেন।

পৃথক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বাগেরহাট জেলার পেড়িখালী ইউপি সদস্য রুবেল ইজারাদার ওরফে বাবুল মেম্বার করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় সরকারি দায়িত্ব পালনরত ডাক্তারদের দায়িত্ব পালনে বাধা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন। বরখাস্ত হওয়া অন্য সদস্যরা সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎসহ ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এবং কেউ কেউ গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে আছেন।

উল্লেখিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে তাদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

একইসময় পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, তার জবাব চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।