তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বাসভবনের নিরাপত্তায় আনসার ব্যাটালিয়ন নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগামী সপ্তাহের মধ্যে যাতে আনসার-ব্যাটালিয়ন নিয়োগ করা যায় সেটি নিশ্চিত করতেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে প্রশাসন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলাকারী দুজন তরুণ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে তাদের হালকা স্বাস্থ্য। তবে তাদের চেহারা পুরো বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি আশাবাদী, খুব দ্রুত তাদের গ্রেফতার করতে পারবেন। ইতোমধ্যে সিসিক্যামেরা ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা গেছে।
হামলাকারীদের চিহ্নিত করা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত কারণ জানা যায়নি। তদন্ত চলছে, কারণ বের করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে ভেনটিলেটর ভেঙে প্রবেশ করে তার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এরপর মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। আর মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ওয়াহিদার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকেও (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। এর আগে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। গুরুতর আহত ইউএনও ও তার বাবাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ইউএনও ওয়াহিদাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিদেশে নেওয়ার চেষ্টা চললেও তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে তা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন:
ইউএনও ও তার বাবাকে কুপিয়ে ‘মৃত ভেবে’ ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা
ইউএনও’র ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের সব তদন্ত ইউনিট মাঠে: ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য
ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থা সংকটাপন্ন, বিদেশে নেওয়ার পরিস্থিতিও নেই