জ্ঞানকে সম্মান করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনশিক্ষার্থীদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘জ্ঞানকে সম্মান করতে হবে। শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদেরকে অনুসন্ধিৎসু করা, যাতে তারা জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী হয়।’ রবিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।




এ সময় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন নেতা পেয়েছিলাম। তার নেতৃত্ব ও পররাষ্ট্রনীতির কারণে মাত্র সাড়ে তিন বছরে ১২৬ দেশের স্বীকৃতি লাভ করে বাংলাদেশ। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা হলো, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। আমাদের চিহ্নিত কোনও শত্রু নেই। বর্তমান সরকার আলোচনার মাধ্যমে সকল দ্বি-পক্ষীয় বিষয়ে সমাধানে বিশ্বাসী। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে স্থল, সমুদ্রসীমা ও গঙ্গার পানি বণ্টন বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।’
আলোচনা সভার আগে রবিবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিতে ও রাজশাহী কলেজে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
জাদুঘর পরিদর্শন শেষে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ও কিছু এনজিওদের চাপে ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর বিলম্বিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই যেতে ইচ্ছুক। দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও শুধুমাত্র এনজিও ও ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সির চাপে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। রোহিঙ্গারা বর্তমানে যে জায়গায় রয়েছে, সেই জায়গাটির পরিমাণ ৬ হাজার ৮০০ একর। জায়গাটি অনেক সংকুচিত। কিন্তু সমস্যা হলো, অতিবৃষ্টি হলে যেকোনও সময় পাহাড় ধসে তারা মারা যেতে পারে। তখন সবাই আমাদের দোষ দেবেন। আর বর্তমানে যেখানে আছে সেখানে মাদক, মানবপাচারসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত তারা।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভাসানচর অনেক সুন্দর জায়গা। আমার তো ইচ্ছা সেখানে রিসোর্ট করা। ভাসানচরে গেলে রোহিঙ্গারা ইকোনমিক অ্যাকটিভিজ করতে পারবে। কৃষিকাজ, গরু-ছাগল পালন করতেও পারবে। দিনক্ষণ ঠিক না হলেও আমরা রোহিঙ্গাদের সেখানে স্থানান্তর করার চেষ্টা করছি।’