আইসিইউ ফাঁকা নেই কুর্মিটোলা-কুয়েত মৈত্রীতে

করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। বাড়ছে রোগীর জটিলতা। যার কারণে রোগীদের দ্রুত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিতে হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেও যেখানে করোনা আক্রান্ত রোগীর চেয়ে আইসিইউ বেডের সংখ্যা বেশি ছিল, সেখানে গত দুই সপ্তাহ ধরে আইসিইউ বেড ক্রমেই কমে আসছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, আজ শনিবার (২০ মার্চ) রাজধানী ঢাকার করোনা ডেডিকেটেড সরকারি হাসপাতালে শয্যা রয়েছে ১১৭টি। তার মধ্যে ফাঁকা রয়েছে মাত্র ৩৩টি।

করোনা ডেডিকেটেড রাজধানীর অন্যতম প্রধান দুই হাসপাতাল কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ বেড ফাঁকা নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ রয়েছে ১৬টি। আর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ বেড রয়েছে ১০টি। এই দুই হাসপাতালেরই আইসিইউ রোগীতে পূর্ণ।

আরও পড়ুন-

মৃত্যু বেড়েছে ৮৫ শতাংশ

এক সপ্তাহে শনাক্ত বেড়েছে ৯১ শতাংশ

শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে আইসিইউ বেড রয়েছে ১৬টি, রোগী ভর্তি আছেন পাঁচ জন, ফাঁকা আছে ১১টি বেড। সরকারি কর্মচারি হাসপাতালের ছয়টি বেডের মধ্যে রোগী আছেন তিন জন, ফাঁকা রয়েছে তিনটি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৪টি বেডের মধ্যে রোগী আছেন ১০ জন, ফাঁকা রয়েছে ১৪টি বেড। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫টি বেডের মধ্যে রোগী আছেন ১৩ জন, ফাঁকা রয়েছে দুইটি বেড। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি বেডের মধ্যে রোগী আছেন ১৩ জন, ফাঁকা রয়েছে তিনটি বেড।

অপরদিকে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা হলেও সেখানে তাদের জন্য আইসিইউ নেই।

অধিদফতরের তালিকাভুক্ত বেসরকারি ৯টি হাসপাতালে আইসিইউ বেড রয়েছে ১৬৯টি। যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছেন ১৩১ জন, আর বেড ফাঁকা রয়েছে ৩৮টি।

ঢাকার তালিকাভুক্ত হাসপাতালগুলোতে মোট আইসিইউ বেড রয়েছে ২৮৬টি। তার মধ্যে রোগী আছেন ২১৫ জন, আর বেড ফাঁকা রয়েছে ৭১টি।

করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য সারাদেশে আইসিইউ রয়েছে ৫৬৩টি। তার মধ্যে রোগী ভর্তি আছেন ৩০১ জন, আর বেড ফাঁকা রয়েছে ২৬২টি।