‘কঠোর বিধিনিষেধ’ শেষ হচ্ছে আজ, নতুন কী আসবে?

করোনা সংক্রমণ রোধে সাত দিনের ‘কঠোর বিধিনিষেধ‘ শেষ হবে আজ রবিবার (১১ এপিল) রাতে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন হতে যাচ্ছে। তবে গত সাত দিন ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ এর নামে যা হলো তা নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। প্রশ্ন উঠেছে, ১১ এপ্রিল রাতে শেষ হবে কঠোর বিধিনিষেধ আর ১৪ এপ্রিল শুরু হবে সর্বাত্মক লকডাউন। তাহলে মাঝের দু’দিন গণপরিবহনসহ বাকি সবের ওপরের নিষেধাজ্ঞা কি থাকবে?

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন জানিয়েছেন,  অফিসিয়াল আদেশ বা নির্দেশনা আমরা এখনও পাইনি। রবিবার মন্ত্রী ও সিনিয়র সচিবদের সমন্বয় মিটিং হবে। সেখানেই অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল সাত দিনের জন্য গণপরিবহন, শপিং মল, দোকানপাট বন্ধ রেখে অফিস আদালত সীমিত পরিসরে খোলা রেখে কঠোর বিধিনিষেধ পালনের নির্দেশনা দেয় সরকার। কী করা যাবে বা কী করা যাবে না সেসব নির্দেশনা দেওয়ার দু’দিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে বাধ্য হয় সরকার। খুলে যায় শপিং মলও। অন্যদিকে প্রতিদিনি বাড়তে থাকে সংক্রমণ আর মৃত্যু। সেই পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়ার অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা এলেও জনমনে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

কী করা যাবে না এবার

সরকার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এবারের সাত দিনের লকডাউনে মানুষ যে যেখানে আছেন, সেখনেই থাকবেন। কেউ কোনও অজুহাতেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারবেন না। সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তসাশিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত সব ধরনের অফিস আদালত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। চলবে না কোনও গণপরিবহন। বন্ধ থাকবে প্রাইভেট গাড়ি, লঞ্চ, ট্রলার, জাহাজসহ সব যানবাহন। এমনকি রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, অটোরিকশা ইত্যাদিও বন্ধ রাখার পরিকল্পনা চলছে। এই সময় বন্ধ রাখতে হবে সব ধরনের নির্মাণ কাজ। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ওষুধ সংগ্রহ বা রোগী হাসপাতালে নেওয়া ছাড়া সাধারণ মানুষের ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না।