বিপন্ন মানবতার সাহায্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে দুর্যোগ-দুর্বিপাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন, ৭৫ পরবর্তীকালে কোনও সরকার প্রধান বা রাজনৈতিক নেতা এমন নজির স্থাপন করতে পারেনি।

বুধবার (৫ মে) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি আয়োজিত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ ও অসহায়-দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।

একটা দল সরকারের বিরুদ্ধে গলাবাজি করছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘করোনার এই দুঃসময়ে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে—এমন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তা করে দেখিয়েছেন। শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু একটা দল ঢাকায় বসে শুধু ‘লিপ সার্ভিস’ দিয়ে যাচ্ছে। তারা একেক সময় একেক আন্দোলনের ওপর ভর করে ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতায় লিপ্ত, তারা করোনার এই সংকটের সময়েও সহিংসতার উসকানি দিচ্ছে।’’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা ভাসমান, ঘরবাড়ি নেই, তাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিতে হবে এবং বিতরণের সময় সবাইকে একটি করে মাস্ক বাধ্যতামূলক  দিতে হবে।’ সারা দেশে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ক্যাম্পেইন করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

লকডাউনে অনেকেই চোরাইপথে আসা-যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন। সম্প্রতি পদ্মায় স্পিডবোট ডুবিতে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, এ বিষয়ে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারকে ফাঁকি দেওয়া যায়, কিন্তু মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়া যায় না। এ ধরনের ঝুঁকি নিলে উৎসবের আগেই মৃত্যুর ট্র্যাজেডি অনিবার্য হয়ে পড়ে।’ কাজেই এ ধরনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি। সবাইকে মনে রাখতে হবে, আগে জীবন পরে জীবিকা। তাই উৎসব- আনন্দের কী দাম আছে, যদি জীবন থেকেই দূরে সরে যেতে হয়। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক উৎসব-আনন্দ করা যাবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঈদযাত্রা যেন অন্তিম যাত্রায় পরিণত না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রান্তে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা সম্পাদক সামছুন্নাহার চাপা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট  নুরুল আমিন রুহুল।