দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের প্রচারে বিদেশ যাওয়ায় ভাটা

করোনার কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে বিমান চলাচল স্থগিত করে সরকার। ফলে প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসছিল বা কাজে যোগদানে তাড়া ছিল, তারা পড়ে বিপদে। ১৭ এপ্রিল থেকে বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে বিদেশে শ্রমিক পাঠানো শুরু করে সরকার। ভালোই চলছিল তাতে। কিন্তু বাধ সাধলো ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত সাতজন রোগীর খোঁজ পাওয়া যায় দেশে। আর তা নিয়ে গণমাধ্যমে তোলপাড়ের কারণে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানসহ অন্যান্য কয়েকটি দেশে বাংলাদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘১৭ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত এক লাখ ১০ হাজার শ্রমিক বিদেশ গেছে। এই ধারা অব্যহত থাকতো, যদি না ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিষয়টি এভাবে সামনে না আসতো।’

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪৩ হাজার। এরপরে রয়েছে সৌদি আরব ৩৩ হাজার। এ ছাড়া কাতারে ১৭ হাজার, ওমানে ৫৪০০, সিঙ্গাপুরে ১১০০, কুয়েতে ৩৭০০ ও বাহরাইনে ২৬০০ জন গেছে।

এ বিষয়ে আরেক কর্মকর্তা বলেন, গোটা বিষয়টির একটি ভালো ব্যবস্থাপনা করাছিলাম। কিন্তু গণমাধ্যমে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের খবর ফলাও করে প্রকাশ হওয়ার কারণে শ্রমিক গ্রহণকারী দেশগুলো কিছুটা আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যায়।

বিদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব এখনও শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেনি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় সৌদি আরব অনেক এগিয়ে রয়েছে। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা জানে। এখানে খারাপ কিছু হলে তারা বাংলাদেশিদের ঢোকা নিষিদ্ধ করবে।

উল্লেখ্য, গত বছর করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে প্রচুর বাংলাদেশি ফেরত এসেছিল। তাদের অনেকেই ফিরে যেতে পারেনি। পরের দফায় প্রচুর শ্রমিক বিদেশে যেতে পেরেছে। ফেরত এসেছে তাদের অর্ধেক।