অনলাইন ব্যবসায় নজরদারি করবে সরকার

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, অনলাইন ব্যবসা ও কার্যক্রম নজরদারি করবে সরকার। ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশে অফিস করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ই-কমার্স ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। যাতে জবাবদিহিতা থাকে। কারণ, আমরা অনলাইন ব্যবসায়ীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। অফারের নামে তারা প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ আসছে। বুধবার (২ জুন)  আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ভ্যাটের আওতায় আন্তর্জাতিক ই-কমার্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমাজন রেজিস্ট্রেশন করেছে। অন্য ই-কমার্স ব্যবসায়ীরাও যাতে রেজিস্ট্রেশন করে ব্যবসা করে সেটা আমরা চাই। সবকিছু জবাবদিহিতার মধ্যে থাকুক। আইনের মধ্যে থেকে কাজ করুক। অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোও যাতে রেজিস্ট্রেশন করে কার্যক্রম পরিচালনা করে। কেউ যদি মনে করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে তিনি যেন আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।

বাংলাদেশে ইউটিউবের অফিস করার অনুরোধ

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইউটিউবের কোনও অফিস নেই। ইন্ডিয়াতে আছে। আমরা চাই তারা যেন বাংলাদেশে অফিস করে। সেজন্য ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। তাহলে আমরা আমাদের অভিযোগ তাদের কাছে জানোতে পারব। যিনি অপরাধ করবেন তিনিই যাতে আইনের আওতায় আসেন সেটাই আমরা চাই। অনলাইন ব্যবসার নামে যারা বিদেশে টাকা পাঠান বা আনেন তারা কিভাবে পেমেন্ট করেন সেটা আমরা জানতে চাই। সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে আমরা নির্দেশনা পাঠিয়েছি।

অনলাইন ব্যবসা নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার

মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, অনলাইন ব্যবসা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। অফারের নামে প্রতারণার নানা অভিযোগ আসছে। যে পণ্যটির দাম দেড় লাখ টাকা সেটা অপারের নামে ৮০ হাজার টাকায় কীভাবে দেয়। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে লিজিং কোম্পানিগুলো কীভাবে উচ্চহারে সুদ দেয় সেগুলো খতিয়ে দেখতে এবং নজরদারি করতে বলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। অস্বাভাবিক প্রচারণা ও বিজ্ঞাপন দিয়ে যাতে মানুষকে ঠকাতে না পারে সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে কি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেই বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।

বিট পুলিশিং

তিনি বলেন, সারাদেশে বিট পুলিশিং চালুর উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষ আমরা পুলিশকে দেব। তারা যাতে সেখানে বসে পুলিশিংয়ের কাজ করতে পারেন।

মাদক নিরাময় কেন্দ্র

মন্ত্রী বলেন, অভিযোগ আছে মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে মোটিভেশনের পরিবর্তে অত্যাচার ও নির্যাতন করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠান করার মানদণ্ড কী এবং সেগুলোতে কী হয় সেটা খতিয়ে দেখতে ও নজরদারি করতে পুলিশকে বলা হয়েছে।

নতুন মাদক এলএসডি

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন,  এলএসডিসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ১৫টি গ্রুপকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দুটি গ্রুপকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। অন্যদেরও আনার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।