আইসিটি সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ ৫০ শতাংশ করবো: প্রধানমন্ত্রী

লিঙ্গ সমতা অর্জনে বিশ্ব নেতাদের সাহসী নীতিমালা ও সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আইসিটি সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ ২০৪১ সালের মধ্যে  ৫০ শতাংশ করবো।’

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) জেনারেশন ইক্যুয়ালিটি ফোরাম, প্যারিস আয়োজিত  ‘লিঙ্গ সমতার জন্য প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন’ শীর্ষক অ্যাকশন কোয়ালিশন অনুষ্ঠানে ভিডিও-বার্তায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেইজিং সম্মেলনের ২৫তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে আমার আগের প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় আজ  আবারও শপথ নিতে চাই। টেক স্টার্ট অ্যাপস এবং ই-কমার্স সেক্টরসহ আইসিটি সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করে ২০২৬ সালের মধ্যে তা ২৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে তা ৫০ শতাংশ করবো।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৫ সালে বেইজিংয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সাহসী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে এই প্রতিশ্রুতির অনেকগুলোই পূরণ হয়নি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী রাজনীতি, অর্থনীতি এবং শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ উৎসাহজনক নয়। বর্তমানে সংসদ সদস্যদের মধ্যে মাত্র ২৫  শতাংশ নারী, শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ পুরুষের তুলনায় এখনও ৩১ শতাংশ কম। সাহসী নীতিমালা তৈরি ও সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের অবশ্যই এই পরিস্থিতি বদলাতে হবে।’

সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘নারীদের তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে সংযুক্তির মাধ্যমে আমাদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন’ অর্থবহ হয়েছে। নারী আইটি প্রফেশনাল এবং দক্ষ নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে সরকার বিভিন্ন বাস্তবভিত্তিক প্রকল্প চালু করেছে। নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় আমরা বিভিন্ন ডিজিটাল অ্যাপস ব্যবহার করছি।’

সাইবার প্লাটফর্মগুলোতে নারীদের নিরাপত্তা বাড়াতে গত তিন বছরে ৭১ হাজারের বেশি মেয়েকে সাইবার সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রযুক্তি স্টার্টআপ এবং ই-কর্মাসসহ তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য,  ৩০  জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত দু’টি ইভেন্ট-জুড়ে চলছে জেনারেশন ইক্যুয়ালিটি ফোরাম বা প্রজন্মের সমতা ফোরামের এই অনুষ্ঠান। এটি মেক্সিকো সিটিতে শুরু হয়েছিল এবং প্যারিসে শেষ হবে।

জেনারেশন ইক্যুয়ালিটি ফোরাম হলো লিঙ্গ সমতার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন। জাতিসংঘের উইমেনের আহ্বানে এ অনুষ্ঠিতটি মেক্সিকো এবং ফ্রান্স সরকার যৌথভাবে আয়োজন করে।

লিঙ্গ সমতার জন্য বাস্তব, উচ্চাভিলাষী এবং রূপান্তরকৃত প্রতিশ্রুতি আদায়ে এই ফোরাম সরকার, করপোরেশন, এনজিও, যুব-নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী এবং সংস্থাকে একত্রিত করে।