‘করোনা পজিটিভ তাই গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি’

করোনা পজিটিভ, কয়েক দিন হাসপাতালে ছিলাম। এখন আইসোলেশনে থাকবো। তাই গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া যাচ্ছি’- শুক্রবার (২ জুলাই) গাবতলী পুলিশ চেক

পোস্টে এমনই তথ্য দিচ্ছিলেন আলমগীর নামে এক ব্যক্তি। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানী ছাড়তে চাওয়া একটি প্রাইভেটকারের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।

করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সারা দেশে এক সপ্তাহের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউনে গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচাবাজার, রোগীদের ওষুধ কেনা, কোভিডের টিকা নিতে যাওয়া, কোভিডের টেস্ট করাতে যাওয়া- এসব ক্ষেত্রে কোভিডের মেসেজ দেখিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বাইরে বের হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এরপরও অনেকেই অনেক রকম অজুহাত নিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন। লকডাউন তদারকি করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদ করে কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ না পেলে করছেন জরিমানা।

গ্রামের বাড়ি রওনা হওয়া এই রোগী বলছিলেন, গ্রামের বাড়িতে যেতে হবে, সেখানেই আইসোলেশনে থাকবো। তাই ঢাকায় না থেকে বাড়ি চলে যাচ্ছি।

করোনা রোগী এভাবে বাইরে এসে রাস্তায় ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিচ্ছেন, এর দায় কে নেবে? ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা জানতে চাইলে ওই রোগীর বক্তব্য, আমিতো মাস্ক পরে আছি। কোনও সমস্যা হবে না।

এরপর পুলিশের সঙ্গে তর্কবিতর্ক করতে দেখা যায় তাকে। পুলিশ সদস্যরা তাকে দূর থেকে কথা বলতে বলছিলেন, এতে তিনি আরও কাছে এসে কথা বলারও চেষ্টা করেন।

দায়িত্বে থাকা গাবতলী পুলিশ চেকপোস্টের ট্রাফিক সার্জেন্ট মাসুদ রানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, একজন করোনা পজিটিভ রোগী গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন; যা এই সময় যেকোনও ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর। আমরা তাদের গাড়িটি ঘুরিয়ে দিয়েছি। বাসায় অবস্থান নেওয়ার কথা বলেছি। মানুষের এ ধরনের সচেতনতার অভাবের কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।