কুয়েত মৈত্রী-কুর্মিটোলা-ঢামেক-মুগদা ও সোহরাওয়ার্দীতে আইসিইউ ফাঁকা নেই

করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের ঊর্ধ্বগতি এবং টানা ষষ্ঠ দিনের মতো মৃত্যু সংখ্যা একশ’ ছাড়িয়েছে। এর মাঝেই স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকার অন্যতম পাঁচটি সরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ফাঁকা নেই। এই পাঁচটি হাসপাতালের সব আইসিইউ বেডেই রোগী ভর্তি আছে।

শুক্রবার (২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ২৬ বেড, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০ বেড, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেড, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেড এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০ বেডের সবগুলোতেই রোগী ভর্তি রয়েছে। কোনও বেডই ফাঁকা নেই।

স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, রোগী সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে হাসপাতালগুলোতে এখনও কিছুটা বেড ফাঁকা থাকলেও সেটা ক্রমেই রোগীতে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। আর সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে রোগী সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

রাজধানী ঢাকার করোনা ডেডিকেটেড অন্য হাসপাতালগুলোর আইসিইউ বেডে রোগী বাড়তে শুরু করেছে।

এরমধ্যে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬ আইসিইউ বেডের মধ্যে ৮টি, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ৬টি বেডের একটি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫ বেডের ২টি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১০ বেডের ৪টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বেডের মধ্যে ৩টি এবং ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতালের ২১২টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ১০২টি বেড।

রাজধানীতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সরকারি ও স্বায়ত্তশাষিত ১৬টি হাসপাতালে মোট ৩৮৪টি আইসিইউ বেডের মধ্যে এই মুহূর্তে ফাঁকা রয়েছে ১২৭টি।

অপরদিকে, রাজধানীতে বেসরকারি ২৮টি হাসপাতালে আইসিইউ বেড রয়েছে ৪৪১টি। এসব হাসপাতালে বর্তমানে বেড ফাঁকা রয়েছে ২৫৫টি।