সরকারি হাসপাতালের ১১২ আইসিইউ বেডই রোগীতে ভর্তি

মাঝে একদিনের ব্যবধানে আবারও দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর দৈনিক শনাক্তে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। মহামারিকালে গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই)  সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৫১ জন রোগী শনাক্ত হওয়ার পাশাপাশি করোনায় মারা গেছেন আরও  ১৯৯ জন। এদিকে রাজধানীতে ৭টি সরকারি হসপাতালের মোট ১১২টি আইসিইউ বেডেই রোগী ভর্তি রয়েছে।

একের পর এক রোগী সংক্রমণ আর দৈনিক মৃত্যুর নতুন রেকর্ডের মধ্যে হাসপাতালগুলোর সাধারণ শয্যা এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র-আইসিইউ’র সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে।

রোগীতে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালগুলো। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই রোগীর চাপ বেড়ে চলেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনা ডেডিকেটেড কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ২৬ বেড, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০ বেড, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬ বেড, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ৬ বেড, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেড, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৪ বেড, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০ বেডের সবগুলোতে রোগী ভর্তি রয়েছে। সরকারি এই ৭টি হাসপাতালের ১১২টি বেডেই রোগী ভর্তি রয়েছে।

বাকি হাসপাতালগুলোর মধ্যে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫ বেডের মধ্যে চারটি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১০ বেডের মধ্যে দুইটি, টিবি হাসপাতালের ১৬ বেডের মধ্যে ১৪টি, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১০ বেডের মধ্যে পাঁচটি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বেডের মধ্যে একটি, আর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতালের ২১২ বেডের মধ্যে মাত্র ৭৩টি ফাঁকা রয়েছে।

রাজধানী ঢাকায় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল রয়েছে ১৬টি। এরমধ্যে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা হলেও সেখানে তাদের জন্য আইসিইউ নেই। সবমিলিয়ে এই ১৬ হাসপাতালের ৩৯৫টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে মাত্র ৯৯টি বেড।