ডিজিটাল সেবার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বছরে গড়ে সাত লাখের বেশি সেবা প্রদান করে থাকে। এই সেবাগুলোকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নেওয়া হলে সাধারণ জনগণ অনেক উপকৃত হবে। তারা পৃথিবীর যেকোনও কোণ থেকে কম সময় সেবাগ্রহণ করতে পারবে। মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে নতুনভাবে চিন্তা করা এবং সাজানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিষয়গুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) ডিজিটাল আর্কাইভ এবং ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাববিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আইসিটি ডিভিশনের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র সচিব উল্লেখ করেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে তথ্যপ্রযুক্তিগত দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কোনও বিকল্প নেই। জনগণের বৃহত্তর সুবিধা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইনসহ অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তিকে ক্রমশ প্রচলন করতে হবে।

সভায় দেশে তৈরি “বৈঠক” অ্যাপ সর্বপ্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্যবহারের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবাসমূহ ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান।

সভায় এনএম জিয়াউল আলম মতামত প্রকাশ করেন যে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিজিটালাইজেশনের জন্য প্রয়োজনীয় গতিবেগ পেয়েছে এবং এটিকে কাজে লাগানোর এখনই উপযুক্ত সময়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং বিদেশস্থ ৭৮ মিশনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত/হাই কমিশনার, মিশন প্রধান এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সভায় অংশগ্রহণ করেন।