‌এই বর্ষার পর ঢাকা-গাজীপুর সড়কে ভোগান্তির অবসান: ওবায়দুল কাদের

ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের জনভোগান্তির কথা স্বীকার করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘‌এ মহাসড়কটি অত্যন্ত খারাপ, যে কারণে জনগণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তবে ভোগান্তির শেষ বর্ষাকাল এটাই, বর্ষাকাল শেষ হলেই জনগণের ভোগান্তির অবসান হবে।’

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের চেরাগআলীতে বৃহত্তর ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী জানান, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের আওতায় ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়ক, ৬টি ফ্লাইওভার ও ২৫টি বিআরটি স্টেশনসহ মোট ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার করিডোর নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রতি ঘণ্টায় উভয়দিকে ২০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‌‘হাউজবিল্ডিং থেকে চেরাগআলী পর্যন্ত ৪.৫ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ বাস্তবায়ন করছে সেতু বিভাগ এবং বাকি অংশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।’

এ করিডোরে দুইটি সংরক্ষিত বিআরটি লেন, চারটি মিক্সড ট্রাফিক লেন, দুইটি অযান্ত্রিক লেন এবং পথচারীদের জন্য ফুটপাতের ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‌বর্তমানে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৩ দশমিক দুই সাত ভাগ।’

পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী প্রকল্পের অফিসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে প্রকল্পবিষয়ক মতবিনিময় করেন। এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সচিব আবু বক্কর ছিদ্দিক, সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুরসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।