মেক্সিকোর স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ

উত্তর আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বেশি গভীর হলেও আরেকটি দেশ মেক্সিকো কিছুটা আড়ালে থেকে যায়। ২০১২ সালে ওইদেশে দূতাবাস খোলা হলেও দেশটির সঙ্গে রাজনৈতিক যোগাযোগ এখনও অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। মেক্সিকোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও বাড়ানোর জন্য দেশটির স্বাধীনতার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের নেতৃত্বে একটি দল এ মাসের শেষে সেখানে যাচ্ছে। এছাড়া স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘উত্তর আমেরিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ মেক্সিকো এবং আমরা দেশটির সঙ্গে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাই।’

স্বাধীনতা উৎসবে বাংলাদেশের একটি সাংস্কৃতিক দল ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক দলও মেক্সিকো যাবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মেক্সিকো সফরের সময়ে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের রাজনৈতিক বৈঠকের জন্য চুক্তি সই হলেও গত ছয় বছরে কোনও বৈঠক হয়নি।

সশস্ত্র বাহিনীর দল

শুধু রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নয়, দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যেও যোগাযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে যা বৃহত্তর কূটনীতিতে প্রভাব ফেলবে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেক্সিকো সরকারের আমন্ত্রণে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি ৩৯ সদস্য-বিশিষ্ট কন্টিনজেন্ট ক্যাপ্টেন (বিএন) শেখ শহীদ আহমেদের নেতৃত্বে ওই দেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করবে।

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর কন্টিনজেন্টটি ঢাকায় ফেরত আসবে।

উল্লেখ্য, ভারতের স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডেও বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর একটি দল অংশগ্রহণ করেছিল।