করোনায় আবারও নারী মৃত্যু বেশি

মাঝে একদিন বাদ দিয়ে আবারও করোনায় দেশে পুরুষের তুলনায় নারী মৃত্যু বেশি হয়েছে। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৩৬ জন। তাদের মধ্যে নারী ১৯ জন আর পুরুষ ১৭ জন।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেছেন ১৭ হাজার ৫৫৬ জন এবং নারী ৯ হাজার ৭৫৭ জন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৬৪ দশমিক ২৮ শতাংশ, আর নারী ৩৫ দশমিক ৭২ শতাংশ।

এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ২৬ জনের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন নারী, আর ১১ জন পুরুষ। তার আগের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর বাদ দিয়ে ১৮ ও ১৭ সেপ্টেম্বরেও নারী মৃত্যু বেশি ছিল। ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ১৬ জন এবং নারী ১৯ জন। তার আগের দিন ১৭ সেপ্টেম্বরে মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ১৩ জন এবং নারী ২৫ জন।

দেশে করোনা মহামারিকালে প্রথম গত ১২ আগস্ট পুরুষ মৃত্যুকে ছাড়িয়ে যায় নারী মৃত্যু। সেদিনই প্রথমবারের মতো একদিনে মৃত্যুর তালিকায় পুরুষের চেয়ে নারী মৃত্যু বেশি ছিল। সেদিন অধিদফতর জানায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ২১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৭ জন এবং নারী ১০৮ জন।

করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দেশে পুরুষ আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুহার বেশি ছিল। নারীর তুলনায় পুরুষ বাইরে যান বেশি, যে কারণে তারা আক্রান্ত হন বেশি। আর আক্রান্ত হলে মৃত্যুও বেশি হবে এতদিন এটাই জানিয়ে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে নারী মৃত্যু বেড়ে যায়। আর বর্তমানে দৈনিক মৃত্যুতে পুরুষের তুলনায় কোনও কোনও দিন নারী মৃত্যু বেশি হচ্ছে।

নারী মৃত্যুর জন্য বিশেষজ্ঞরা ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের কথা বলেছেন। সেইসঙ্গে টিকা গ্রহণে নারীর পিছিয়ে থাকাকেও কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন তারা। জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটি (ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ) নাইট্যাগ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ মনে করেন টিকা গ্রহণে পিছিয়ে থাকার কারণে নারী মৃত্যু বাড়ছে। হরমোনাল কারণে নারীরা এতদিন সুরক্ষা পেলেও টিকার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকায় এখন তা আর সম্ভব হচ্ছে না।