প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাস ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করেছে।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদে বাংলাদেশের প্রতিনিধি তারিক সুজাত, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কো বাংলাদেশ জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল সোহেল ইমাম খান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শেখ রাসেল সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে বলেন, রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া শেখ রাসেলও পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো খুবই সাধারণ জীবনযাপন করতেন। রাষ্ট্র প্রধানের সন্তান হিসেবে কখনো তারা জীবন নির্বাহ করেননি।

চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ও মিনিস্টার (রাজনৈতিক) এস.এম. মাহবুবুল আলম বলেন, মাত্র ১০ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানব ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞে, কাপুরুষ-ঘাতকের বুলেটে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে শাহাদাৎ বরণ করেন শেখ রাসেল। ক্ষমতা দখল কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ চরিতার্থ করার জন্য পৃথিবীর ইতিহাসে বহু দেশে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা নারী ও কোমলমতি শিশু রাসেলসহ পুরো পরিবারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।

পরে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ফ্রান্স প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের জীবনের ওপর নির্মিত একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে দূতাবাস দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করে। গত ১৭ অক্টোবর   দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রবাসী শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করে। শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।