অববাহিকা ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ গ্রুপ গঠনে একমত বিবিআইএন

বিবিআইএনউপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার অধীনে অববাহিকা ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল (বিবিআইএন) প্রথমবারের মতো একটি যৌথ বিশেষজ্ঞ গ্রুপ গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিবিআইএন-এর তৃতীয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

যুগ্ম সচিব পর্যায়ের এ বৈঠকে ভুটান, ভারত ও নেপাল থেকে ১৭জন প্রতিনিধি  অংশ নিচ্ছেন। এ বৈঠকে পানি, জ্বালানি ও কানেক্টিভিটি-এই তিনটি বিষয় নিয়ে চারটি দেশ আলোচনা করছে।

এর আগে ২০১৩ সাল বিবিআইএন-এর প্রথম বৈঠক হয় ঢাকায় এবং দ্বিতীয় বৈঠক হয় নয়া দিল্লিতে।

ভাটির দেশ হওয়ার কারণে বর্ষাকালে বাংলাদেশে অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হয়।আবার শীতের সময় পানি প্রবাহ কমে যাবার কারণে অসুবিধার সৃষ্টি হয়।

পানির জন্য এ যৌথ বিশেষজ্ঞ গ্রুপ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভালো ভালো নজির সম্পর্কে আলোচনা করে ভবিষ্যতে কি করণীয় সে সম্পর্কে মতামত দেবে।

বৈঠকে উপস্থিত একজন সদস্য বলেন,বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে অববাহিকা ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছিল।অভিন্ন অববাহিকা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো চারটি দেশ দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়েছে।

এ পদক্ষেপ সফল হলে অভিন্ন অববাহিকা ব্যবস্থাপনার জন্য চারটি দেশের সমন্বয়ে একটি কমিশন বা সংস্থা তৈরি করা হবে।

এ ধরনের অভিন্ন অববাহিকা ব্যবস্থাপনার অনেক সফল নজির রয়েছে পৃথিবীতে। মেকং রিভার কমিশন বা নাইজার রিভার বেসিন কমিশন এ ধরনের সফল উদাহরণ।

ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা ও মেঘনা নদীর অববাহিকায় এ চারটি দেশ অবস্থিত। এর মোট অঞ্চলের পরিমাণ ১৭ লাখ ২১ হাজার বর্গ কিলোমিটার।

কানেক্টিভিটি 

বৈঠকে বিবিআইএন মোটর ভেহিক্যাল চুক্তির মতো বিবিআইএন রেলওয়ে চুক্তি করা যায় কিনা সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

২০১৪ সালে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে মোটর ভেহিক্যাল চুক্তি স্বাক্ষর না হবার পর বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল গত বছর নিজেদের মধ্যে এ চুক্তি করে।

সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে রেলওয়ে চুক্তিও স্বাক্ষর হয়নি এবং বিবিআইএন এ চুক্তি করতে পারে কিনা সেটি বিবেচনা করে দেখা হবে।

একজন কর্মকর্তা জানান স্থল, রেল ও নদীপথে যোগাযোগ কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাণিজ্য সহায়ক বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হয় বলে তিনি জানান।

স্থল সীমান্ত বন্দর উন্নয়ন এবং কাষ্টমস হারমোনাইজেশন কিভাবে করা যায় তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন,আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাণিজ্য এবং মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা।

এছাড়া নেপালে কয়েকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হয়।

এসএসজেড/এমএসএম