‘এসক্রো সার্ভিসে আটকে থাকা গ্রাহকের টাকা শিগগিরই ফেরত দেওয়া হবে’

মামলার বাইরের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের এসক্রো সার্ভিসে আটকে থাকা গ্রাহকের টাকা শিগগিরই ফেরত দেওয়া শুরু হবে। এ কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সমন্বয়ক এএইচএম সফিকুজ্জামান। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ১৫ সদস্যের কমিটির তৃতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘ কমিটির তৃতীয় মিটিং হলো আজ, এটি ফাইনাল মিটিং। কেবিনেটে আগামীকাল আমাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কেবিনেট থেকে যেসব বিষয় দেখতে বলা হয়েছিলে, আমরা আজ সেটি ফাইনাল করলাম। রিপোর্টে তারা আমাদের টিওআর করে দিয়েছে, সেগুলোই ফোকাস করা হবে। কিছু অগ্রগতি আছে আমাদের। আমরা ইউনিক বিজনেস আইডি (ইউবিআইডি) করছি। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে এর আওতায় আনছি। অলরেডি হার্ডকপি প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন অ্যাপস যেটি করা দরকার, এটুআই করে দিচ্ছে। খুব শিগগিরই এটি আমরা শুরু করতে পারবো।’

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘প্রচুর টাকা কিন্তু আটকে আছে। এর মধ্যে এসক্রো সার্ভিসে যে টাকাটা আছে এর পরিমাণ ২১৪ কোটি। এই টাকা ফেরত দিতে ইতোমধ্যে আমরা জননিরাপত্তা বিভাগ ও সিআইডিকে চিঠি দিয়েছি। মাঝখানে আরও একটি মিটিং হয়েছে। কেবিন সেক্রেটারি টাকাটা কীভাবে ফেরত দেবে সে বিষয়ে একটা মিটিং করেছেন। সেখানে সিআইডিসহ বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট সবাই উপস্থিত ছিলেন। সেখানে যেটা আলোচনা হয়েছে, এই টাকার বড় একটি অংশ মামলা মোকাদ্দমার মধ্যে আটকে আছে। এ বিষয়ে একটি আইনি মত দরকার। তার ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের লেজিসলেটিভ ডিভিশনে লিগ্যাল ওপেনিয়ন চেয়েছি। গতকালও এটি নিয়ে কথা বলেছি। এটি পেলে মামলা মোকাদ্দমার বাইরে যে টাকা রয়েছে, তা আমরা ফেরত দেবো। এসক্রো সার্ভিস ও এর বাইরের টাকা কীভাবে ফেরত দেবো সেটা নিয়ে আমরা কাজ করবো।’

আটকে থাকা টাকা কবে নাগাদ ফেরত দেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টাকাটা ফ্রিজ করে রেখেছে সিআইডি। এটার সঙ্গে যেহেতু মামলা মোকাদ্দমা আছে তাই আমরা সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ একটা গ্রুপ কাজ করেছি, টাকাটা কীভাবে ফেরত দেওয়া যায় সে বিষয়ে। এটার জন্য দুই-এক দিনের মধ্যে হয়ত লিগ্যাল ওপেনিয়ন পেলে আমরা টাকাটা ছাড় করার ব্যবস্থা করবো। অনেকেই কিন্তু সার্ভিস প্রোডাক্ট পেয়ে গেছে, ফলে টাকাটা কিন্তু কোম্পানি পাবে। আর যেখানে ভোক্তা প্রোডাক্ট পায়নি তাদের টাকা ফেরত দিয়ে দেবো।’