সহযোগিতার নতুন খাত নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী ঢাকা-দিল্লি

পানি ও বাণিজ্য ছাড়া বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে স্থল ও সমুদ্র সীমানা নির্ধারণের বিষয়গুলো গত ৫০ বছরে সুরাহা হয়েছে। এখন ভবিষ্যতে নতুন সহযোগিতার খাত নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী দুদেশ। যার মধ্যে রয়েছে কানেকটিভিটি, গ্রিন এনার্জি, প্রযুক্তি, মহাকাশ বিদ্যা, নিউক্লিয়ার প্রযুক্তিসহ আরও কিছু বিষয়। সামনের দিনগুলোতে ঝুলে থাকা বিষয়গুলোর দ্রুত সমাধানের পাশাপাশি নতুন খাত নিয়ে কাজ করার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার মধ্যে।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে দুই সচিব ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রায় ৫০ মিনিট আলোচনা করেন। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের।

দুই সচিবের বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, পানি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অনিষ্পন্ন কিছু বিষয় রয়েছে। সেগুলো ভারতকে আমরা মনে করিয়ে দিয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে তিস্তার পানি-বণ্টন চুক্তি, কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলন, গঙ্গার পানি ব্যবহারের জন্য যৌথ স্টাডিসহ অন্যান্য বিষয়। এর মধ্যে কুশিয়ারার পানি উত্তোলন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়া গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতকে দেওয়া হয়েছে এবং জানানো হয়েছে ভারতের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের আগে এটি নিষ্পন্ন হলে ভালো হয়।

তিনি আরও বলেন, কোভিড সহযোগিতা বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছে। কোভিডের কারণে দু’দেশ তাদের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করেছিল। এখন যেকোনও পরিস্থিতিতে সাবধানতার সঙ্গে সীমান্ত উন্মুক্ত রাখতে চায় উভয়পক্ষ।

তিনি বলেন, রেলপথ সহযোগিতা বিষয়ে দুপক্ষ আগ্রহী। কারণ এটি কম দূষণ করে এবং সাশ্রয়ী।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে হতাশা বাড়ছে এবং সেখানে অশান্তি তৈরি হলে আঞ্চলিক অস্থিরতা বাড়বে বলে হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে সাবধান করেন পররাষ্ট্র সচিব। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়ের সঙ্গেই সীমান্ত আছে ভারতের এবং এ নিয়ে আরও কাজ করা উচিৎ বলে মত প্রকাশ করেন মাসুদ বিন মোমেন। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও দুইপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।