হজে যাওয়া নির্ভর করছে দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তির ওপর

সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তির ওপর চলতি বছরের হজে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি সম্পাদিত হলে, বাংলাদেশ হতে কতজন হজ পালনের সুযোগ পাবেন তা জানা যাবে। বাংলাদেশ এই বিষয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ করছে। আশা করি, এই বছরে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা হজে যেতে পারবেন।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ৫ বছরে হজে অনিয়মের কারণে ৪টি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল ও ৩৬টি হজ এজেন্সিকে ৪৩ লাখ ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিতে অনিয়মের কারণে কোনো হজ এজেন্সিকে কালো তালিকাভুক্ত করবার বিধান না থাকায় অনিয়মের কারণে ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে গত ৫ বছরে কোনো হজ এজেন্সিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয় নাই। তবে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি অনুযায়ী ২০১৯ সালের হজে অনিয়মের কারণে ৪টি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ৩৬টি হজ এজেন্সিকে ৪৩ লাখ ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২৪ জুন হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১' গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে কোন এজেন্সির বিরুদ্ধে অনিয়ম উত্থাপিত হলে আইন অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।