‘গ্রিন অ্যানার্জি প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তরুণদের নেতৃত্ব দিতে হবে’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার এবং গ্রিন ও ক্লিন অ্যানার্জি দক্ষতা বৃদ্ধিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও আবিষ্কারে তরুণদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কী ধরনের প্রযুক্তি প্রয়োজন এবং কেমন প্রযুক্তি টেকসই হবে সেদিকে লক্ষ রেখেই উদ্ভাবনের ওপর জোর দিতে হবে।’

শনিবার বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) আয়োজিত ‘ক্যারিয়ার অপরচুনিটি ইন আর্থ ফ্রেন্ডলি জবস’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের (বিওয়াইএলসি) প্রেসিডেন্ট এজাজ আহমেদের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন– বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রুপ পিটারসেন, এসবিকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির এবং সোলস শেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেবাস্টিয়ান গোর।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গৃহীত হয়েছে বছরভিত্তিক পরিকল্পনা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পদ মূল্যায়ন ও নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রোডম্যাপ-২০৩০ অনুসারে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সৌরবিদ্যুতের জন্য খসড়া রোডম্যাপ-২০৪১ নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে ২ কোটির বেশি গ্রামীণ অফগ্রিডের জনগণ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্যান্য নাবায়নযোগ্য জ্বালানির মধ্যে সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু জমি বেশি লাগে বিধায় সৌরবিদ্যুতের জন্য  উদ্ভাবনী সমাধান প্রয়োজন। যদিও আমরা ছাদে সৌর এবং ভাসমান সৌর প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছি। ছাদ সৌরবিদ্যুৎকে জনপ্রিয় করার জন্য নেট মিটারিং সিস্টেম প্রবর্তন করা হয়েছে।

‘বায়ুবিদ্যুৎ নিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বায়ুর ম্যাপিং নয়টি সাইটে করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই অফশোর বায়ুর সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করা হবে। নবায়ণযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ভাগ ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের উৎপাদনের মিশ্রণের ৪০% করতে চাই। এজন্য বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হচ্ছে।’

তরুণদের নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনাগুলো আরও বেশি টেকসই হবে যখন আমাদের তরুণরা এই খাতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে। সামনের দিনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অনেক তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’