বাংলাদেশ-ভারত আলোচনা

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আসামে, জেসিসি দিল্লিতে

গত ২৮ এপ্রিল ঢাকায় ঘুরে গেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। এর ঠিক এক মাস পর চলতি মে মাসের ২৮-২৯ তারিখে ভারতের আসামে নদী কনফারেন্সে যোগ দেবেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও আমন্ত্রিত। আসামে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের কথা রয়েছে। এরপর দিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক নিয়ে আলোচনা চলছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের আগে জেসিসি বৈঠক হবে। তবে জেসিসি বৈঠকের আগে আরও কয়েকটি বৈঠকের কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, এ মাসের শেষে দুই দেশের বিদ্যুৎ সচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে ভারতের সিমলায় এবং জয়েন্ট বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হবে ঢাকায়। ওই দুটি বৈঠক ছাড়াও বাণিজ্য, নৌপরিবহনসহ অন্যান্য বৈঠক যা আগে হয়ে গেছে, সেগুলোর ফলাফল নিয়ে আলোচনা করবেন দুই মন্ত্রী।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জেসিসির তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। এটি নিয়ে কথাবার্তা চলছে।

মে মাসে আসাম এবং জুন মাসে জেসিসি হলে সেটি হবে এ বছরে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে চার বার বৈঠক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি হতেই পারে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো এবং এখন সোনালী অধ্যায় চলছে।’

উল্লেখ্য, এবছরের ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্সে ইন্দো-প্যাসিফিক ফোরাম অনুষ্ঠানের সাইডলাইনে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জেসিসি বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, জেসিসির তারিখ নিয়ে গত ২৮ এপ্রিল বৈঠকে দুই মন্ত্রী কথা বলেছেন। আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দিল্লিতে জেসিসি করতে আগ্রহী ঢাকা।

তিনি বলেন, ‘তারিখ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে এবং আশা করছি খুব শিগগিরই সেটি আমরা নির্ধারণ করতে পারবো।’

যেহেতু জেসিসি বৈঠকে দুই দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় সেজন্য অন্যান্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকগুলো সম্পন্ন হওয়া জরুরি এবং ওই বৈঠকগুলোতে অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো নিয়ে দুই মন্ত্রী কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের আগে পানি নিয়ে কোনও বৈঠকের সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।’